প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেই

সরকার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফেসবুকে যাঁরা এই ব্যবসা করছেন, তাঁদের শাস্তিও হচ্ছে না। জড়িত লোকজনকে শাস্তি দিতে না পারলে দায়মুক্তি হবে না।
রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে গতকাল শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংলাপে আলোচকেরা এ কথা বলেন। শিক্ষা ও শিশুরক্ষা আন্দোলন (শিশির) এ সংলাপের আয়োজন করে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের একটি বাজার আছে, উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। এটা মারাত্মক সমস্যা। ফেসবুকে যাঁরা এই ধরনের ব্যবসায় করছেন, তাঁদের শাস্তি দিতে হবে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের একেকটি ঘটনা একেকটি হলি আর্টিজান ঘটনার সমান। জঙ্গিবাদ দমনে সরকার কাজ করছে, তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে সরকার উদাসীন। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই।
সংলাপে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কিছু কাঁটা ও বাধা আছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে সবাই জড়িত নয়, মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ জড়িত। তাদের শাস্তি দিতে না পারলে দায়মুক্তি হবে না।
অনুষ্ঠানে শিশির-এর আহ্বায়ক রাখাল রাহা বক্তব্য দেন।