বিদ্যালয়ে ঢুকে হামলা, তিন শিক্ষক ও ১৫ ছাত্র আহত

বগুড়ার ধুনটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাতাহাতির ঘটনার জের ধরে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলার সময় বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলায় তিনজন শিক্ষক ও অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি উচ্চবিদ্যালয়ে গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে খাটিয়ামারি ধ্রুবতারা কোচিং সেন্টারের উদ্যেগে খাটিয়ামারি উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে গান শোনাকে কেন্দ্র করে খাটিয়ামারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগত দর্শকদের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে গতকাল সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাটিয়ামারী গ্রামের শাহাদৎ, হাবিব, মজিদ, ফারুকসহ ছয়-সাতজনকে কাশিয়াহাটা গ্রামের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় লাঞ্ছিত করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খাটিয়ামারি গ্রামের শাহাদৎ, হাবিব, মজিদ, ফারুকসহ প্রায় ২০-২২ জন বহিরাগত যুবক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পাল্টা হামলা চালান। এ সময় তাঁদের হামলায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান, আল আমিন, আবদুল হাই এবং সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিয়ারুল, পলাশ, নবম শ্রেণির রিপন, আকিরুল, রাব্বি, ১০ শ্রেণির মিঠু, ইয়াছিন, হৃদয়, আবদুল করিম, রেজওয়ানসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহত সবাইকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে শাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমি বিরোধী দল করি। তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
খাটিয়ামারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদের বলেন, বিদ্যালয়ে হামলায় শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের আহত করার ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। সমঝোতা না হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনাটি আমাকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন। ঘটনা বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’