পুণ্যার্থীদের ঢল অষ্টমী স্নানে

অষ্টমী স্ন¯œান উপলক্ষে গতকাল কুড়িগ্রামের চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে পুন্যার্থীরা l ছবি: প্রথম আলো
অষ্টমী স্ন¯œান উপলক্ষে গতকাল কুড়িগ্রামের চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদে পুন্যার্থীরা l ছবি: প্রথম আলো

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় পুণ্যার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। এদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদের তিস্তামুখ পয়েন্ট ও বালাসীঘাট নদীর তীরে অষ্টমী পুণ্যস্নানে যোগ দেয় শিশু-নারী-পুরুষ।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা ১০ মিনিট থেকে ১০টা ৯ মিনিট পর্যন্ত ছিল স্নানের সবচেয়ে ভালো লগ্ন। এ উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।

চিলমারী উৎসব কমিটির নেতারা বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ভারত, নেপালসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থী চিলমারী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে আসে। স্নান উৎসবকে কেন্দ্র করে নদের পাড়ে দুই দিন ধরে লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা মুরাদ হাসান বেগ স্নান এলাকা পরিদর্শন করেন।

চিলমারীর ইউএনও মির্জা মুরাদ হাসান বেগ বলেন, পুণ্যার্থীদের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দেশ ও জাতির মঙ্গলসহ পারিবারিক শান্তি কামনা করে গতকাল গাইবান্ধায় অনুষ্ঠিত হয় অষ্টমীর পুণ্য স্নানোৎসব। ফুলছড়ি উপজেলার যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদের তিস্তামুখ পয়েন্ট ও বালাসীঘাট নদীর তীরে গতকাল ভোর থেকে ওই উৎসবে যোগ দেয় জেলা ও জেলার বাইরে থেকে আসা শত শত মানুষ। এ উপলক্ষে সেখানে দিনব্যাপী মেলা বসে। মেলায় লোকজ পণ্য, শিশুদের খেলাধুলার জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর পসরা সাজান দোকানিরা। এবার স্নানে অংশ নিতে আসা মানুষদের সুবিধার জন্য স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।