শিবগঞ্জে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা

দুই শিশুর ঝগড়ার জের ধরে শাহ জালাল (২৫) নামে এক তরুণকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গতকাল বুধবার দুপুরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
একই দিন পুলিশ জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার চকরঘুনাথপুর হিন্দুপাড়া গ্রাম থেকে সোমা রানী পাল (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি ওই গ্রামের প্রশান্ত কুমার মণ্ডলের স্ত্রী। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ জয়পুরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সোমবার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আতিকুল ইসলামের ছেলে প্রতিবেশী আবু সাঈদের মেয়ের সঙ্গে খেলাধুলা করার সময় ঝগড়া বাধে। দুটি শিশুর বয়সই পাঁচ থেকে ছয় বছর। তাদের এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আতিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে গতকাল বুধবার দুপুরে আতিকুল ইসলামের লোকজন সাঈদের লোকজনের ওপর হামলা করেন। এতে শাহ আলম (৩০), মোকাদ্দেছ আলী (২৮), শহিদ আলী (৩০), রানা মিয়া (৩৫), শাহ জালাল ও ফজলার রহমান (৭৫) জখম হন। তাঁদের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এখানে শাহ জালাল ও তাঁর বাবা ফজলার রহমানের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ জালালকে মৃত ঘোষণা করেন। আর ফজলার রহমানকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি ফজলুল করিম বলেন, এ ঘটনায় আলাউদ্দিন ও রাহেলা বেগমকে আটক করা হয়েছে।