বাঘারপাড়ায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার দাবি

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে গতকাল রোববার দুপরে মানববন্ধন হয়েছে। যশোর শহরে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন পরিষদের জেলা শাখার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রবীন সন্স আর, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক তপন ঘোষাল, প্রচার সম্পাদক তিমির ঘোষ, কোষাধ্যক্ষ যোগেশ পাল, বাঘারপাড়া কমিটির আহ্বায়ক শচীন্দ্রনাথ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাঘারপাড়ার ঘোষনগর গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর স্থানীয় কাওছার আলী ও আবদুল গফফারের নেতৃত্বে একদল লোক অতর্কিত হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বাঘারপাড়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চৈত্র পূজা নিয়ে ঘোষনগর গ্রামের একটি চায়ের দোকানে গ্রামের বাসিন্দা সর্বেস্বর অধিকারীর সঙ্গে বাহারুল ইসলামের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সর্বেস্বর অধিকারীর ভাগনে তাপস অধিকারীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বাহারুল। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাপস অধিকারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সর্বেস্বর অধিকারী ঘটনার পরদিন বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। এতে ১১ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন ঘোষনগর গ্রামের কাওছার আলী, তাঁর ভাই আনছার আলী, আবদুল গফফার ও তাঁর তিন ছেলে শরিফুল ইসলাম, বাহারুল ইসলাম ও মিনারুল ইসলাম।

বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আটজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।