যুবলীগ নেতা আশরাফকে দাফন, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় গুলিতে নিহত যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আশরাফ উদ্দিনের (৪৫) লাশ গতকাল মঙ্গলবার দাফন হয়েছে। জানাজা-পূর্ব এক সমাবেশে বক্তারা হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পাশাপাশি এ ঘটনায় অত্যুৎসাহী হয়ে কোনো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া না দেখাতে নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেন তাঁরা।

হাতিয়া উপজেলার চরকিং গ্রামে যুবলীগ নেতা আশরাফের বাড়ির সামনে গতকাল সকালে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে আশরাফের ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ছাড়াও সভাপতি সাবেক সাংসদ ওয়ালীউল্যাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বক্তারা বলেন, হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন এতে ব্যর্থ হলে দলীয় নেতা-কর্মীরা আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।

পরে জানাজা অনুষ্ঠিত শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

পরিস্থিতি শান্ত

আশরাফ নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে রবি ও সোমবার হাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল উপজেলার পরিস্থিতি শান্ত ছিল। কোথায়ও নতুন কোনো সহিংস ঘটনার খবর আসেনি। জানাজা পূর্ব-সমাবেশে আশরাফের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দীনের বক্তব্যের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

জানতে চাইলে মহিউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, আশরাফের মৃত্যুর খবর জানার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রশাসন সে অনুযায়ী কাজ করবে। প্রশাসন ব্যর্থ হলে পরবর্তী সময়ে দলীয়ভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে দলের কোনো নেতা-কর্মী যাতে অত্যুৎসাহী হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া না দেখান, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।

গত ৩০ মার্চ হাতিয়া উপজেলার আফাজিয়া বাজারে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন যুবলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিনসহ কয়েকজন। রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশরাফ মারা যান। তিনি হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চা শিক্ষক ছিলেন।

আশরাফের আরেক ভাই পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দিন ৩১ মার্চ ৮৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এতে হাতিয়ার সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলীকে হুকুমের আসামি করা হয়।

জানতে চাইলে সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে আশরাফের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনার সঙ্গে তাঁর দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁকে হয়রানি করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে।