সন্তানের জন্ম দিয়ে কাঁদছে কিশোরী

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার চর ভয়েরা বেপারীকান্দী গ্রামের ইমান হোসেনের (৬৫) বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করত ১৩ বছরের এক কিশোরী। ইমান হোসেন তাকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সে একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছে। সন্তানের জন্ম খুশি করতে পারেনি তাকে। সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের কথা ভেবে অঝোরে কেঁদে যাচ্ছে সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের দরিদ্র এক কৃষকের মেয়ে ওই কিশোরী একই গ্রামের ইমান হোসেনের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করত। গত মার্চ মাসে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর সালিস বৈঠকে মাতবরেরা দেড় লাখ টাকা নিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন।
পরে মেয়েটির বাবা গত ২০ অক্টোবর ডামুড্যা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি ইমান হোসেন পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি জানার পর জাতীয় মহিলা সংস্থার শরীয়তপুরের সভানেত্রী রওশন আরা বেগম মেয়েটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন। গতকাল সকালে তাঁর সহায়তায় ওই কিশোরী ও নবজাতককে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গ্রামবাসী জানান, ইমান হোসেনের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাঁরা সবাই বিবাহিত। ওই কিশোরী ইমান হোসেনের ঘরে গৃহপরিচারিকার কাজ করত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরী বলে, ‘সন্তানের স্বীকৃতি না পেলে কীভাবে বেঁচে থাকব।’
মেয়েটির মা বলেন, ‘ইমান হোসেন আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। সন্তানের স্বীকৃতি না পেলে আমার মেয়ে সমাজে কীভাবে বাঁচবে। কোন পরিচয়ে শিশুটি বড় হবে।’
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আমিন বলেন, মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।