মডেল রাউধা হত্যা মামলা তদন্তে সিআইডি

রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী ও মালদ্বীপের মডেল রাউধা আথিফের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবার করা হত্যা মামলা তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী শাহ মখদুম থানা থেকে রাজশাহী সিআইডিতে মামলাটি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজশাহী সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার নাজমুল করিম খান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাজমুল করিম খান প্রথম আলোকে বলেন, রাজশাহী সিআইডির পরিদর্শক আসমাউল হককে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আসমাউল হক মামলার কাগজপত্র বুঝে নিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আজ যোগাযোগ করেছেন।

নাজমুল করিম খান বলেন, ‘আরও আগে মামলার তদন্তভার পেলে সুবিধা হতো। তবে আমরা ইতিমধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনসহ মামলা–সংশ্লিষ্ট তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছি। এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের মতো কোনো আলামত আমরা পাইনি। আত্মহত্যা হলেও কেউ প্ররোচিত করেছে কি না, কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখব। হত্যাকাণ্ডের মতো কোনো আলামত পাওয়া যায় কি না, তা–ও আমরা দেখব। এখনই সরাসরি কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাতে চাই না। তদন্ত শেষেই তা বলা যাবে।’

রাজশাহী সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, ‘রাউধা জনপ্রিয় মডেল ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে বাংলাদেশর ভাবমূর্তি জড়িত। তাই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করব।’

গত সোমবার রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থিত হয়ে রাউধার বাবা মোহাম্মাদ আথিফ মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার আবেদন জানান। আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম আবেদনটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের জন্য রাজশাহী নগরের শাহ মখদুম থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের নির্দেশনা পেয়ে শাহ মখদুম থানা-পুলিশ সেটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন। মামলায় রাউধার সহপাঠী সিরাত পারভীন মাহমুদকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে নগরের শাহ মখদুম থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

এ বিষয়ে নাজমুল করিম খান বলেন, ‘দুটি মামলাই আমরা তদন্ত করব। এ জন্য রাউধার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ সবকিছু পরীক্ষা করতে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।’