শিগগিরই শিক্ষক সমিতির নির্বাচন চায় সোনালি দল

নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে শিগগিরই শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সোনালি দল। গতকাল রোববার সোনালি দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সোনালি দলের সভাপতি মো. ফজলুল আউয়াল মোল্লাহ্ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতির নিয়ম অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হওয়ার কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগেই পরবর্তী কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হয়। যেখানে সদ্য বিদায়ী সভাপতি নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু বর্তমান শিক্ষক সমিতির মেয়াদ গত ৯ মার্চ শেষ হয়েছে। এরপরও নির্বাচনের কোনো তারিখ ঘোষণা না করায় সোনালি দলের পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানানো হচ্ছে।
এদিকে ৯ মার্চ শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ সাধারণ সভায় ‘ব্যালটের ছবি তোলা’ নিয়ে বিতর্কের জের ধরে ২০১৭ সালের নির্বাচনের কোনো তারিখ নির্ধারণ করতে পারেনি বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি। আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের কতিপয় সদস্য চান ভোটদানের পর ভোটাররা ব্যালটের ছবি তুলে রাখুন। শিক্ষক ফোরামের অনেক সদস্যই তাঁদের নির্ধারিত প্যানেলে ভোট দেন না বলে অভিযোগ এনে নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় ওই শিক্ষকেরা ছবি তোলার এ দাবি জানান। ব্যালটের ছবি তোলা নিয়ে শিক্ষকদের ওই দাবির সঙ্গে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি একমত না হওয়ায় পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ ঝুলে আছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভোট দেওয়ার পর দলীয় আনুগত্যের প্রমাণস্বরূপ ‘ব্যালটের ছবি তোলা’ বিষয় নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করে সোনালি দল। নির্বাচনে কোনো শিক্ষক ব্যালটের ছবি তুললে তাঁর ব্যালট বাতিলসহ উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি মো. ছোলায়মান আলী ফকির বলেন, ‘নির্বাচনে ব্যালটের ছবি তোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছি।’
উপাচার্য মো. আলী আকবর বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের বিষয়ে আমার হস্তক্ষেপ চাওয়া অযৌক্তিক। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় দুই পক্ষের সঙ্গেই আমাকে আলোচনা করতে হবে। তবে দুই পক্ষের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা না থাকলে সমাধান সম্ভব নয়।’