গাজীপুরে অপহূত ব্যক্তিকে উদ্ধার, তিনজন গ্রেপ্তার

গাজীপুর সদর উপজেলার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে অপহরণের এক দিন পর মো. শাহজাহান নামের এক ব্যক্তিকে গতকাল শুক্রবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন বাদল মিয়া (৩৫), আক্তারুজ্জামান (৪২) ও হারুন অর রশিদ (৩৫)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সদর উপজেলার দক্ষিণ চত্বর এলাকার সৌদিপ্রবাসী মো. শাহজাহান সম্প্রতি ছুটি কাটাতে দেশে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পাসপোর্ট ও বিমানের টিকিট পুনরায় নিশ্চিত করতে ঢাকায় যাওয়ার পথে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় শাহজাহানের পরিচিত বন্ধু রানার (৪২) সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এ সময় দুজন কথাবার্তা বলছিলেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা এক নারীসহ আরও তিন-চারজন অজ্ঞাত যুবক এসে উপস্থিত হন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুমালে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে শাহজাহানকে অজ্ঞান করে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান তাঁরা। পরে তাঁকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মার্তা গ্রামের একটি ডাকবাংলোয় আটকে রাখা হয় এবং শাহজাহানের মুঠোফোন থেকে তাঁর স্ত্রী লুৎফুর নাহারের মুঠোফোনে ফোন করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শাহজাহানকে মুক্ত করতে আড়াই লাখ টাকায় অপহরণকারীদের সঙ্গে তাঁর রফা হয়। অপহরণকারীদের কথামতো বিকাশের মাধ্যমে দুটি নম্বরে ৪০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। বাকি টাকা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লুৎফুর নাহার প্রথমে গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের মোড়ে এবং পরে বাড়িয়ার সুকুন্দির আমতলী এলাকায় যান। সেখানে টাকা লেনদেনের সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় অপহূতের স্বজনেরা বাদল মিয়াকে ধরে ফেলেন। অপর দুজন আক্তারুজ্জামান ও হারুন অর রশিদ দ্রুত মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যান। গতকাল সকালে বাদল মিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জয়দেবপুর থানার পুলিশ মার্তা গ্রামের ওই ডাকবাংলো থেকে আক্তারুজ্জামান ও হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার এবং অপহূত শাহজাহানকে উদ্ধার করে।
জয়দেবপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বিশজিৎ কুমার বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।