ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষে পরীক্ষা স্থগিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত এক ছাত্রলীগ নেতাকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়ার দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের একাংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আজ বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

গত অক্টোবরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সারকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ড. ইউনূস ভবনের তৃতীয় তলায় পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে ছাত্রলীগের একাংশ হলের সামনে অবস্থান নেয়। এতে পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকতে পারেননি। পুলিশ তাঁদের সরে যেতে বললে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। সেখানে বেশ কয়েকজন আহত হন। পুলিশ একজনকে আটক করে। এরপর ছাত্রলীগের কর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে পিছু হটেন। এরপর তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। পুলিশ তালা খুলে ফের লাঠিপেটা শুরু করলে তাঁরা সরে যান। এ ঘটনায় চারজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে দুই শিক্ষার্থী ও চার পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা শাটল ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনকারী কয়েকজন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরী পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন। বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃত এমন অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলেও তাঁকে দিচ্ছেন না। আমরা বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু কোনো কিছু না হওয়ায় আজ আমরা বাধ্য হয়ে এখানে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এতে আমাদের ২০ জন আহত হয়েছেন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আজকের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। অন্যগুলো যথাসময়ে হবে।

এ বিষয়ে পুলিশের হাটহাজারী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ওপর চড়াও হওয়ায় আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছি। এতে এক এসআইসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।’

ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কায়সারের বন্ধু ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিলে পুলিশ সেখানে বাধা দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।


প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরী বলেন, বহিষ্কারের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। এর আগেও এমন কাউকে দেওয়া হয়নি। সাধারণ শিক্ষার্থী কেউ আহত হয়ে থাকলে দুঃখিত।