কুড়িগ্রাম রৌমারী সীমান্তে আবার ভারতীয় বুনো হাতির দল

কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে রাতের আঁধারে আবারও ৩০ থেকে ৩৫টি ভারতীয় বুনো হাতি প্রবেশ করেছে। হাতির পায়ের নিচে চাপা পড়ে পাকা ও আধা পাকা বোরো ধান, ভুট্টাখেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সীমান্তবাসী। লোকালয়ে হাতির প্রবেশ ঠেকাতে সারা রাত ঢাকঢোল পিটিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাখা হয়। 

স্থানীয় মানুষ জানায়, গত রোববার মধ্যরাতে রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের আলগার চর এলাকার আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ১০৭২ সংলগ্ন স্থান দিয়ে ভারতীয় ৩০ থেকে ৩৫টি বুনো হাতি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। হাতির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে সীমান্ত এলাকার বোরো ধান, ভুট্টা, ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে। খেয়ে ফেলছে। হাতি আসার খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন রাতে মশাল জ্বালিয়ে রাখে ও ঢাকঢোল পেটাতে থাকেন। আলগার চরের বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এক লগে এত গুইলা হাতি দেইহা মানুষ ভয় পাইছে। গ্রামের দিকে আসলে ঘরবাড়ি সব শ্যাষ কইরা হালাইবো। রাইতে বেশি ভয় নাগে। কোন মিহি, কখন কোন দিকে যায়, কওন যায় না। ১০-১২ বিঘা ধান ও ভুট্টা খাইয়া হালাইছে।’
রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী জানান, রাতের আঁধারে একদল ভারতীয় হাতি সীমান্ত অতিক্রম করে আলগারচর এলাকায় নেমে আসে। মানুষ ও ঘরবাড়ির কোনো ক্ষতি হয়নি। শুধু ফসলি জমি নষ্ট করছে। এলাকাবাসী ঢাকঢোল পিটিয়ে ও রাতে মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াতে চেষ্টা করছেন। কোনো কাজ হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফাউজুল কবির জানান, হাতির খাদ্যের অভাব হলে বাংলাদেশের সীমান্তের গ্রামগুলোতে আসে। গত রোববার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে আসে। এখনো অবস্থান করছে। হাতির পায়ের নিচে চাপা পড়ে পাকা ধানখেত নষ্ট হচ্ছে। খেয়েও ফেলছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, হাতি চলে না যাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।