দুই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত, দুই এসআই বরখাস্ত

মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ওই দুটি কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দায়িত্বরত পুলিশের দুই উপরিদর্শককে প্রত্যাহার করে তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

স্থগিত হওয়া কেন্দ্র দুটি হচ্ছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ১১ ও ১২ কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে দুপুরে পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান জানান, ১১ নম্বর কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র পাল ও ১২ নম্বর কেন্দ্রে ফকরুল ইসলামকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, ১১ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুব্রত কুমার পাল ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এ কে এম শাহিন কবির সকালে লিখিত অভিযোগ দেন। তাতে জানানো হয়, রাতে দুর্বৃত্তরা ওই দুটি কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে। একপর্যায়ে ব্যালট বাক্সে ভরে। বিষয়টি জানার পর কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ দুটি কেন্দ্রে আজ আপাতত কোনো নির্বাচন হবে না।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুব্রত কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে দুর্বৃত্তরা এসে ব্যালট ছিনতাই করে। এ নিয়ে রাতেই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল। সকালের দিকে এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ছিলাম। তাই ভোট না নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।’
সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলে ওই কেন্দ্রে নারী-পুরুষ ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছিলেন। প্রায় তিন ঘণ্টা পর নিরাপত্তার কথা বলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেন নিজ নিজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার। পরে দুপুর পৌনে বারটার দিকে ব্যালট বাক্স, ব্যালট ও ভোটের সরঞ্জাম গুছিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসে নেওয়া হয়। কেন্দ্র থেকে ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেন, দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর মেহেরপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।