৯ আসামির কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড ৪ লাখ ৮০

প্রায় আট বছর আগে ভোলার লালমোহনে কোকো-৪ নামের লঞ্চডুবিতে ৮১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার নয় আসামির প্রত্যেককে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি লঞ্চের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রহমান শিপইয়ার্ড বাংলাদেশ লিমিটেডকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার নৌ আদালতের বিচারক হাসিনা পারভিন শাম্মী আজ মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে নয়জনের মধ্য আটজন হাজির ছিলেন। অপর একজন মারা যান গেছেন বলে তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন।

জামিনে থাকা আসামিদের পরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এঁরা হলেন ওই লঞ্চের মাস্টার শামসুল হক, মাস্টার শহীদুল ইসলাম ভূইয়া (মারা গেছেন), চালক মাসুদ আহমেদ ও সজল আরেফিন খান, সুকানি আবুল কালাম ও আবদুল আজিজ, কেরানি টিটু মিয়া ও শামীম, লঞ্চের পরিদর্শক মো. উজ্জ্বল।

নয় আসামির আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অসদাচরণ করে লঞ্চডুবিতে সহায়তা এবং দায়িত্বহীনতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আদালত আসামিদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামি হলেন কোকো-৪-এর মাস্টার শামসুল হক। অপর মাস্টার শহীদুল ইসলাম মারা গেছেন। কিন্তু আদালতে সেই প্রতিবেদন আসেনি।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৯ নভেম্বর ঈদুল আজহার আগে ঢাকার থেকে লালমোহনগামী কোকো-৪ লঞ্চ লালমোহন উপজেলার নাজিরপুরে ডুবে যায়। এ ঘটনায় তখন ৮১ জনের মৃত্যু হয় বলে মামলায় বলা হয়েছে।