ছাত্র ফ্রন্টের দুই পক্ষের ফের সংঘর্ষ, আহত ১২

দলীয় কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শুক্রবার আবারও ছাত্র ফ্রন্টের দুই পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, প্রগতিশীল একটি ছাত্রসংগঠনের কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ কাম্য নয়। সংঘর্ষের পর গতকাল সন্ধ্যায় কার্যালয়টি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্র ফ্রন্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ছাত্র ফ্রন্টের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়। এরপর দুই পক্ষই ছাত্র ফন্ট নাম ব্যবহার করলেও এক পক্ষ মার্ক্সবাদী ও অপর পক্ষ বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মূলধারার সহযোগী সংগঠন বলে পরিচিত। বিভক্তির সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জব্বারের মোড়ে অবস্থিত সংগঠনটির কার্যালয় থেকে মূলধারার নেতা-কর্মীদের বের করে দেন মার্ক্সবাদীরা। এরপর থেকে মার্ক্সবাদীরা কার্যালয়টি ব্যবহার করে আসছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার কার্যালয়টির দখল নিয়ে সংগঠনটির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল নয়টার দিকে মূলধারার নেতা-কর্মীরা জব্বারের মোড়ে নাশতা করতে এলে ছাত্র ফ্রন্টের কার্যালয়ে অবস্থানরত মার্ক্সবাদী কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মূলধারার তিনজন কর্মীকে কার্যালয়ের চত্বরে ধরে নিয়ে মার্ক্সবাদীরা মারধর করেন। এ সময় মার্ক্সবাদীদেরও দুজন কর্মী আহত হন। এর জের ধরে সন্ধ্যায় জব্বারের মোড় এলাকায় আবার সংঘর্ষ হয়। এতে সাতজন আহত হন। এ সময় পুলিশ দুই পক্ষকে লাঠিপেটা করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। আহত ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
ছাত্র ফ্রন্টের মূলধারার সভাপতি সৌরভ দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কয়েকজন কর্মী সকালে নাশতা করতে গেলে তাঁরা হামলার শিকার হন। বিকেলে আবারও আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।’
সংগঠনটির মার্ক্সবাদী পক্ষের সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘তাঁরা (প্রতিপক্ষ) গ্রন্থাগারের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষের তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। এ সময় আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ হয়। বিকেলে তাঁরা কার্যালয় দখলের জন্য আবারও আমাদের ওপর হামলা করেন।’