স্বামীর গালে থাপ্পড় মেরে নিয়ে যান

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পুলিশ তাস খেলার অপরাধে তিনজনকে আটক করে থানায় নেয়। থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে ওসি ওই তিনজনের গালে তাঁদের স্ত্রীদের থাপ্পড় মারতে বলেন। সেটা না করায় স্ত্রীদের সামনে ওই তিনজনকে কান ধরে ওঠবস করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আজ রোববার বেলা সাড়ে এগারোটায় আক্কেলপুর থানার মূল ফটকের কাছে ওই তিনজনকে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বজনদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এটা করা হয়েছে। তাঁরা আর কখনো তাস খেলবে না বলে স্ত্রীদের সামনে কান ধরে ওঠবস করেছেন। এরপর আটক ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতে পৌর শহরের চৌধুরীপাড়া মহল্লার আজাদ হোসেনের বাড়িতে তাস খেলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ সেখানে গিয়ে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটক তিনজনই পৌরশহরের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন, চৌধুরীপাড়ার মহল্লার আজাদ হোসেন, পশ্চিম হাস্তাবসন্তপুর মহল্লার তাহের আলী (৪৮) ও আখের আলী (৪৫)। রাতেই আটক ব্যক্তিদের স্বজনেরা তাঁদের থানা থেকে ছেড়ে আনতে তদবির শুরু করেন। আজ সকালে আটক ব্যক্তিদের স্বজনেরা তাঁদের ছেড়ে আনতে আবারও থানায় যান। দেনদরবার শেষে ওসি আটক তিন ব্যক্তির স্ত্রী থানায় এসে তাঁদের স্বামীদের গালে চড় মেরে থানা থেকে নিয়ে যাওয়ার শর্ত দেন। এরপর আটক তিন ব্যক্তির স্ত্রীদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। আটক তিন ব্যক্তির স্ত্রীরা থানায় উপস্থিত হলে মূল ফটকের সামনে আটক ব্যক্তিদের আনা হয়। তখন ওসি সিরাজুল ইসলাম স্বামীর গালে স্ত্রীদের থাপ্পড় মারতে বললে স্ত্রীরা তাতে রাজি হননি। পরে ওসি আটক তিন ব্যক্তির স্ত্রীদের সামনে কান ধরে ওঠবস করিয়ে ছেড়ে দেন।

আটক আজাদ হোসেনের স্ত্রী বলেন, ‘ওসি স্যার আমাকে আমার স্বামীর গালে থাপ্পড় মারতে বলেছিলেন। এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয় বলার পর ওসি স্যার আমাদের সামনে কান ধরে ওঠবস করিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন।’

এ ঘটনার সময় সেখানে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোরশেদ আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলর খোরশেদ আলম বলেন, তিনজন তাঁদের স্ত্রীদের সামনে কান ধরে ওঠবস করার পর ছাড়া পেয়েছেন।