মে দিবসে কাজ না করায় শ্রমিককে পিটিয়ে জখম

ঝালকাঠিতে মে দিবসে কাজ না করায় এবং বকেয়া মজুরি চাওয়ায় খননযন্ত্রের এক শ্রমিককে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় মাসুদ হাওলাদার (২৫) নামের ওই শ্রমিককে খননযন্ত্রের ম্যানেজার মো. ফরিদ হোসেন জখম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মাসুদ পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের আদর্শবয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে।
মাসুদ বলেন, ড্রেজার মালিক আবদুল কাইয়ুম এক মাস ধরে মজুরির টাকা না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। মে দিবসে অন্য শ্রমিকদের কাজ বন্ধ থাকলেও খননযন্ত্রের কাজ বন্ধ না করে ফরিদ শ্রমিকদের জোরপূর্বক কাজ করাতে চাপ তৈরি করেন। সোমবার দুপুরে ফরিদ কাজ করার জন্য তাঁকে মুঠোফোনে ডেকে পাঠান। এ সময় তিনি বকেয়া মজুরি দাবি করেন এবং কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় কাইয়ুমের উপস্থিতিতে ফরিদ লাঠি দিয়ে তাঁর (মাসুদ) মাথায় আঘাত করেন। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তিনি বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘কাজের চাপ থাকায় আমি ম্যানেজার ফরিদকে মে দিবসেও কাজ চালাতে বলি। তাই মাসুদকে কাজ করতে বলেন ফরিদ। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগ্বিতাণ্ডার একপর্যায়ে হঠাৎ ফরিদ এ ঘটনা ঘটান। মাসুদের পাওনা টাকা দিয়ে দেব।’
ম্যানেজার ফরিদ বলেন, ‘রাগের মাথায় মাসুদকে লাঠি দিয়ে আঘাত করি। কিন্তু সে সরে গেলে পিলারের সঙ্গে মাথায় আঘাত লেগে মাথা ফেটে যায়। এতে আমার কোনো দোষ নেই। তা ছাড়া মাসুদ নিজের খামখেয়ালিমতো কাজ করে।’
এদিকে মাসুদ চরমোনাই ইসলামিক শ্রমিক আন্দোলনের সদস্য হওয়ায় সংগঠনের সদস্যরা ওই দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ ঘটনায় মাসুদের পরিবার মামলা করবে বলে জানায়।