মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলায় বিছানায় মৃত অবস্থায় মা-মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটাকে হত্যাকাণ্ড ধারণা করে সন্দেহভাজন খুনি হিসেবে নিহত নারীর দ্বিতীয় স্বামীকে খুঁজছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত দুজন হলেন নাজমা খাতুন ও তাঁর মেয়ে জোসনা বেগম। জোসনা স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।
ঘটনার পর থেকে নাজমা খাতুনের স্বামী রফিক (৪২) পলাতক। তিনি উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের চরসাজাই বদরপুর গ্রামের ছত্তর আলীর ছেলে। নাজমা রফিকের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

নিহত নারীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের টাঙ্গাইল পাড়া গ্রামের মৃত আসান আলীর মেয়ে নাজমার প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন বছর আগে রফিকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। রফিক প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নাজমাকে বিয়ে করেন। গতকাল বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন রফিক। প্রতিবেশীরা সকালে মা ও মেয়েকে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথিশ কুমার সরকার। তিনি বলেন, মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, বিষজাতীয় কোনো কিছুর কারণে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়ে জোসনা বেগমের মুখ ও নাকে ফেনা দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি জানান, লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বোঝা যাবে এটা হত্যাকাণ্ড কি না। পলাতক রফিককে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।