আইসিটির ৫৭ ধারায় ২ সাংবাদিক কারাগারে

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় কুষ্টিয়ায় দুই সাংবাদিকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মেজবাউল হক এ আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো দুই সাংবাদিক হলেন বাংলাভিশন, বিডি নিউজ ২৪ ও বণিক বার্তার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এবং কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক হাসান আলী ও কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত কুষ্টিয়া দর্পণ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসলাম আলী।

গত ৩০ মার্চ কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দৈনিক সত্য খবর পত্রিকার সম্পাদক হাসিবুর রহমান রিজু বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আইসিটি আইনে এ মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে থানার পাশে একটি চায়ের দোকানের কর্মচারী মিরাজুল ইসলাম। হাসান আলী ও আসলাম আলী যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বর আসামি।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, সুলতান ইসলাম নামে একটি ফেসবুক আইডিতে হাসিবুর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া হয়। গত ৩০ মার্চ মিরাজ আলী তাঁর ফেসবুক আইডিতে সুলতান ইসলামের পোস্টটি হাসিবুরের আইডিতে ট্যাগ ও শেয়ার দেয়। বিষয়টি হাসিবুর মিরাজের কাছে জানতে চাইলে সে জানায় হাসান ও আসলাম তার (মিরাজ) মোবাইল নিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সুলতান ইসলামের এই পোস্টটি হাসিবুরকে ট্যাগ করে।
এ ছাড়া হাসিবুর রহমান দাবি করেন, হাসানের ফেক আইডি হলো সুলতান ইসলাম।

এ মামলায় গত ১১ এপ্রিল উচ্চ আদালত থেকে সাংবাদিক হাসান আলী ও আসলাম আলী চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আর মামলার দিনই মিরাজকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিক হাসান আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুলতান ইসলাম নামে ফেসবুক আইডিটা তাঁর নয়। এ ছাড়া কার মোবাইল থেকে কী পোস্ট দেওয়া হলো, সেটা আমি কীভাবে জানব? এ ঘটনার বিষয়ে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই।’