দিনাজপুরে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত পাঁচ

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে উপজেলা যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় ঘুঘুরাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে রানীরবন্দর যাওয়ার রাস্তায় মূল সংঘর্ষ হয়। পরে বিচ্ছিন্নভাবে শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

একপক্ষে আছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান গণি (৪৫) এবং অপরপক্ষে আছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরফিন শাহ (৪২)। সংঘর্ষে এ দুজন ছাড়াও যুবলীগের কর্মী নূরে আলম (৩৮) ও পিউস চন্দ্র রায় (৩০) এবং আবদুলপুর ইউপির সদস্য নুরুল আমিন শাহ (৪৪) আহত হন।

থানার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২ মে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান গণির বাড়িতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত রাত সাড়ে ৮টার দিকে হামলা চালিয়ে তাঁর স্ত্রী লাকি আরাকে মারধর করে। এ ঘটনায় ৪ মে সোলায়মান বাদী হয়ে যুবলীগের কর্মীসহ ৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে চিরিরবন্দর থানায় মামলা করেন।

আরফিন শাহ পক্ষের উপজেলা যুবলীগের সদস্য মাহফুজুল ইসলাম আসাদ বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সোলায়মানের বিরুদ্ধে গত সোমবার যুবলীগের কর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে আবার উপজেলা চত্বরে এসে সভা করে। পরে বাড়ি ফেরার পথে শহরের বিভিন্ন মোড়ে সোলায়মান পক্ষের লোকজন আরফিন পক্ষের লোকজনের পথ রোধ করেন। দুপক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।

আহত লোকজনের মধে৵ সোলায়মানসহ তাঁর পক্ষের তিনজনকে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আরফিন শাহসহ তাঁর পক্ষের দুজনকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। চিরিরবন্দর থানার ওসি হারেসুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।