২৬ শিক্ষার্থীর খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হওয়ার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র তানভীর আহমেদ এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি প্রথমপত্র ছাড়া সব কটি বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ৯১ নম্বর পেলেও প্রথম পত্রে তার রয়েছে ৬০। কেবল তানভীর একা নয়, ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বিদ্যালয়টির ১৩ জন পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকে ৬০ এবং আরও ১৩ জন ৬৩ নম্বর করে পেয়েছে।
এসব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা বলছেন, ওই ২৬ জন শিক্ষার্থী চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একটি কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছিল। ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রাপ্ত নম্বর স্বাভাবিক নয়। পরীক্ষার খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হওয়ায় এ রকম নম্বর এসেছে।
কাজী রফিকুল হক নামের এক অভিভাবক বলেন, পর পর ১৩ জন পরীক্ষার্থী একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ৬০ এবং পরবর্তী ১৩ জন একই বিষয়ে পর্যায়ক্রমে ৬৩ করে নম্বর পেয়েছে। এটা কখনো স্বাভাবিক হতে পারে না। কমপক্ষে ১-২ নম্বরের ব্যবধান হবে। এসব শিক্ষার্থীর খাতা পুনর্মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে তাদের উচ্চশিক্ষার পথ বাধাগ্রস্ত হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল হোসেন বলেন, ‘২৬ জন ছাত্রের নম্বরের বিষয়টি নিয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে বলেছে।’
শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র গতকাল বুধবার বলেন, মুঠোফোনে বেশ কয়েকজন বিক্ষিপ্তভাবে তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছেন। নিয়ম মেনে পরীক্ষার্থীরা খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করলে বিষয়টি দেখা হবে।