প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে ভবিষ্যৎমুখী রাজনীতি

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া

অনেক রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ‘ভিশন-২০৩০’ তুলে ধরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে ভবিষ্যৎমুখী রাজনীতির ঘোষণা দেন।
এই রূপকল্পে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা; বিচার বিভাগ, পুলিশ ও প্রশাসনে সংস্কার; সরকার ও বিরোধী দলের সমন্বয়ে কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা; প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে ভবিষ্যৎমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন আশ্বাস দেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এসব পরিবর্তন আনার জন্য প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার বা সংশোধনী আনবে বিএনপি।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে খালেদা জিয়া এই রূপকল্প তুলে ধরেন। গত বছরের ১৯ মার্চ দলের কাউন্সিল অধিবেশনে খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০-এর একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেছিলেন। গতকাল তা বিস্তারিত আকারে তুলে ধরা হয়।
এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে ক্ষমতায় যেতে হবে বিএনপিকে। কিছু আশ্বাস পূরণ করতে শুধু সরকার গঠন করলেই হবে না, জাতীয় সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে অথবা বিরোধী দলের সমর্থন পেতে হবে। কারণ অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
দীর্ঘ প্রায় দুই ঘণ্টার বক্তব্যে খালেদা জিয়া ৩৭টি বিষয়ে ২৫৬টি দফা তুলে ধরেন। এর মধ্যে শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কীভাবে বিএনপির এই রূপকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
খালেদা জিয়ার এই ভিশন-২০৩০ অনেকটাই নির্বাচনী ইশতেহারের মতো। নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর আগে ইশতেহারের মতো এই ভিশন তুলে ধরা নিয়ে বিএনপির নেতাদের অনেকের মধ্যে প্রশ্ন আছে। গত সোমবার রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এই প্রশ্ন তুলেছিলেন কেউ কেউ। তবে তাঁরা সংবাদপত্রের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য
খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। এটি সংসদীয় সরকার পদ্ধতির স্বীকৃত রীতির পরিপন্থী। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোর অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আবরণে একটি স্বৈরাচারী একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্ম দিয়েছে। সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনা হবে।
তবে ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়বে নাকি মন্ত্রিসভার সদস্যদের আরও ক্ষমতায়ন করা হবে, তা খালেদা জিয়া স্পষ্ট করেননি। এ বিষয়ে তিনি গতকাল যা বলেছেন, গত বছর দলের কাউন্সিলেও তা-ই বলেছিলেন।
জাতীয় সংসদ
খালেদা জিয়া বলেন, সংবিধানের এককেন্দ্রিক চরিত্র অক্ষুণ্ন রেখে বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থা সংস্কারের অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। জাতীয় সংসদকে সব জাতীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হবে। জাতীয় স্বার্থ-সম্পর্কিত বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। সরকারি হিসাব-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি করা হবে বিরোধী দল থেকে।
সাংবিধানিক সংস্কার
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের পঞ্চদশ ও ষষ্ঠদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোটের ব্যবস্থা বাতিল, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল, সংসদ বহাল রেখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান প্রবর্তন, সংবিধানের কিছু বিষয় সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ এবং সংবিধানের কিছু ধারা-উপধারা সংশোধনের অযোগ্য করার বিধান, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের ওপর ন্যস্ত করার বিধানসহ কয়েকটি ‘অগণতান্ত্রিক’ বিধান প্রণয়ন করেছে। বিএনপি এসব বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক বিধান পর্যালোচনা ও পুনঃপরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার করবে।
খালেদা জিয়া ঘোষণা দেন, তাঁর দল গণভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনবে। বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ বাতিল এবং ন্যায়পালের পদ সৃষ্টি করা হবে।
গণতন্ত্র
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, রাষ্ট্রের মালিকানা এখন জনগণের হাতে নেই। তাই দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি। নিত্যদিনের জন-আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দিয়ে তাদের সম্পৃক্ত করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে বিএনপি।
খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর দল দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবে না। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সুনীতি, সুশাসন ও সুসরকারের সমন্বয় ঘটাবে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের অবসান ঘটিয়ে নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এ জন্য নতুন এক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে বিএনপি সচেষ্ট হবে।
সুশাসন
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে আশঙ্কাজনকভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সুবিচার নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য জনপ্রশাসন, বিচার, পুলিশ ও কারাগার—এই চার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক সংস্কার করা হবে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক সুশাসনের জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আইনি ও প্রক্রিয়াগত পদক্ষেপ নেবে তাঁর দল। প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা, সততা, মেধার উৎকর্ষ এবং সৃজনশীলতাকে বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে গ্রহণ করা হবে। দলীয় ও সব ধরনের আইনবহির্ভূত হস্তক্ষেপের অবসান ঘটিয়ে বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও পুলিশের আইনানুগভাবে কর্তব্য পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। পুলিশ বাহিনীকে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক সমাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। পুলিশের ওপর বিচার বিভাগীয় তদারকি নিশ্চিত করে জবাবদিহি ও কল্যাণমূলক জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে।
বিচার বিভাগ
বর্তমান বিচারব্যবস্থা সংস্কারের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করার আশ্বাস দেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, যোগ্যতা, মেধা ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগের জন্য আইন করে বাছাই কমিটি ও সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। অধস্তন আদালতকে নির্বাহী বিভাগের আওতামুক্ত করার লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আলাদা সচিবালয় করা হবে।
সন্ত্রাসবাদ
খালেদা জিয়া বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ সব রাষ্ট্রের জন্যই হুমকির কারণ। এ কারণে বিএনপি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে কোনো রকম সন্ত্রাসবাদী তৎপরতাকে বরদাশত করবে না এবং সন্ত্রাসবাদীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবে না।
পররাষ্ট্রনীতি
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি অন্য কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং অন্য কোনো রাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তার সমস্যা সৃষ্টি করবে না। একইভাবে অন্য কোনো রাষ্ট্রও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করলে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
যোগাযোগ
খালেদা জিয়া বলেন, দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে রেল ও নৌপথের ওপর অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকায় বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করে একে একটি ‘রিজিওনাল হাব’ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করে রাজধানী ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ‘সুপার হাইওয়ে’ দ্বারা সংযোগের উদ্যোগ নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ আরও সহজসাধ্য করা হবে। এশিয়ান হাইওয়ে এবং ঢাকা-কুনমিং রেল, সড়কযোগাযোগসহ আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থা এবং সার্কভুক্ত ও আশিয়ান দেশসমূহের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলার উদ্যোগ; গণচীনের ‘ওয়ান বেল্ট-ওয়ান রোড’ উদ্যোগে সংযুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া হারিয়ে যাওয়া নির্বাচিত নদীপথগুলো পুনরুদ্ধার, কর্ণফুলী, বুড়িগঙ্গা, গোমতী, পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা নদীতে আন্ডারগ্রাউন্ড-টানেল নির্মাণ, দ্বিতীয় যমুনা সেতু, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া প্রান্তে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু ও ব্রহ্মপুত্র সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস হাইওয়ে নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন।
আইসিটি খাত
খালেদা জিয়া বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি খাত হবে বিএনপির বিশেষ অগ্রাধিকার খাত। ২০৩০ সালের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতকে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতে রূপান্তর করা, আউটসোর্সিং ও সফটওয়্যার খাতকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা, এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ সহজ করা, সারা দেশে ফোরজি চালুর ঘোষণা দেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-বিষয়ক সব আইনের অগণতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক ধারাগুলো সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল এবং ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি
শিক্ষাকে কর্মমুখী ও ব্যবহারিক জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, এই খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করা হবে।
স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করা, সব নাগরিকের জন্য চিকিৎসক নির্দিষ্ট করা, পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমা চালু করা, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ আনুমানিক ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনে আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তোলা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চান তিনি।
এই সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, চীন, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, তুরস্ক, সৌদি আরব, কাতার, ডেনমার্ক, সংযুক্ত আবর আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বিশিষ্টজনদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ ও অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতিকদের মধ্যে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের নেতাদের বাইরে কেউ ছিলেন না। তবে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। বিএনপির নেতাদের মধ্যে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।