খালাস পেলেন সেই শিপন

মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতায় একটি হত্যা মামলায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের শিপন নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। বিচারিক আদালতের রায়ে শিপনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতের বিশেষ দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী গত ৩ এপ্রিল এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে মামলার অপর আসামিরাও খালাস পেয়েছেন। রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেওয়া হলো।

মাহতাব নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ১৯৯৪ সালের ২৫ অক্টোবর সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। পরের বছর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলার দুই নম্বর আসামি মো. শিপনকে গ্রেপ্তারের পর ২০০০ সালের ৭ নভেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। গত বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে মামলাটি ঢাকার পরিবেশ আপিল ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ছিল।

গত ২৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়। ৩০ অক্টোবর ওই প্রতিবেদনের অনুলিখন ও সিডি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী কুমার দেবুল দে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাইকোর্ট ওই দিনই ২২ বছর আগে দায়ের হয়ে নিষ্পত্তি না হওয়া রাজধানীর সূত্রাপুর থানার ওই হত্যা মামলার নথি তলব করেন। একই সঙ্গে শিপনকে আদালতে হাজির করতে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁর জামিন প্রশ্নে রুল দেন। ৯ নভেম্বর আদালত শুনানি নিয়ে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেন। পাশাপাশি শিপনের বক্তব্যও শোনেন আদালত।

আইনজীবী কুমার দেবুল দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩ এপ্রিল বিচারিক আদালত ওই রায় দেন। রায়ের কপি আজ হাতে পেয়েছি। শিপন ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন।’ সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেলের এই আইনজীবী আরও বলেন, বিচারে বিলম্ব হওয়ায় শিপনের যে ক্ষতি হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।