চারটি জঙ্গি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে

চট্টগ্রামে পৃথক চারটি জঙ্গি মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম আদালতে এসব মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল।
চট্টগ্রামভিত্তিক নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেডের’ ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. নুরুল ইসলাম এর আদালতে গতকাল অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। সরকারি কৌঁসুলি নোমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মো. জায়েদুল্লাহ ওরফে জাহেদ নামের এক আসামির আইনজীবী গত ২১ মার্চ আবেদন করেন ঘটনার সময় আসামির বয়স ১৮ বছরের কম ছিল। আসামি শিশু হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে হতে হবে। পরে আদালত চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনকে মেডিকেল প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। প্রতিবেদনটি না আসায় শুনানি হয়নি। এ ছাড়া আসামি মনিরুজ্জামান ওরফে ডনের জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে দেন।
২০১৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নগরের হালিশহর থানার গোল্ডেন আবাসিক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ৭৬টি শক্তিশালী বোমা, ১৫০ কেজি বিস্ফোরক, ৩০ ধরনের বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ২৪টি শটগানের গুলি, বিপুল পরিমাণ তার, বাল্ব, মুখোশ, দস্তানা ও বুট উদ্ধার করে র্যা ব। এ ঘটনায় র্যা ব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এম জি রব্বানী নগরের হালিশহর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে র্যা ব গত বছরের ১ মার্চ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এদিকে নগরের আকবর শাহ থানায় র্যা বের করা দুটি অস্ত্র এবং একটি বিস্ফোরক মামলায় ‘একিউআইএস’-এর পাঁচ সক্রিয় সদসে৵র বিরুদ্ধে করা মামলায় গতকাল তৃতীয় যুগ্ম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বিলকিছ আক্তারের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি ছিল। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা একিউআইএস (আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট) নামে পরিচিত। পাঁচ আসামি হলেন ফরিদপুরের মাওলানা মো. তাজুল ইসলাম, যশোরের মো. নাজিমউদ্দিন, ঝিনাইদহের আবুজর গিফারী, নীলফামারীর মো. নুরে আলম ও রংপুরের শেখ ইবতিসাম আহমেদ।
সরকারি কৌঁসুলি রাশেদুল আলম বলেন, তিন মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৪ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরের এ কে খান মোড় ও উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, বোমা, বিস্ফোরকসহ পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যা ব। এ ঘটনায় র্যা ব-৭ চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক এম জি রাব্বানী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে নগরের আকবর শাহ থানায় অস্ত্র আইনে দুটি, বিস্ফোরক ও সন্ত্রাস দমন আইনে একটি করে চারটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের তিনটি পৃথক মামলায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় র্যা ব। এপ্রিল মাসে আরেকটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।