পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার এনায়েতপুর থানার ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। স্বামী পুলিশ কনস্টেবল নিরোধ কুমার সরকার তাঁকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত গৃহবধূর নাম চুমকি রানী ভৌমিক (২৬)। তিনি বেলকুচি উপজেলার খাস সোনামুখী গ্রামের ব্যবসায়ী বাদল কুমার ভৌমিকের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে নিরোধ কুমার সরকার পলাতক রয়েছেন।

থানা-পুলিশ, মামলার এজাহার ও নিহত গৃহবধূর স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের নিরোধ কুমার সরকারের (বর্তমানে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল পদে কর্মরত) সঙ্গে এক বছর আগে একই উপজেলার খাস সোনামুখী গ্রামের বাদল কুমার ভৌমিকের মেয়ে চুমকি রানীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে কলহ লেগেই ছিল। গত রোববার নিরোধ ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। রাতের কোনো একসময়ে নিরোধ স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান। চুমকির বাম পায়ের একটি আঙুলও তিনি কেটে ফেলেন।

বাদল ভৌমিক বলেন, ‘চার বছর আগে নিরোধ পুলিশে চাকরি নেওয়ার সময় আমি (বাদল) মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে নিরোধকে ১০ লাখ টাকা দিই। পরে আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে গত বছর মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার ঝগড়ার একপর্যায়ে নিরোধ পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।’

এনায়েতপুর থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, হত্যার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহত চুমকির বাবা বাদল কুমার ভৌমিক বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল নিরোধ, তাঁর মা ও দুই চাচাকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।