শুল্ক গোয়েন্দাদের সামনে যেতেই হচ্ছে রেইনট্রির এমডিকে

রেইনট্রি হোটেল
রেইনট্রি হোটেল

রাজধানীর বনানীর বহুল আলোচিত দ্য রেইনট্রি হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ মো. আদনান হারুনকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যেতে হচ্ছে। গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হতে তাঁকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আজ সোমবার দুপুরে স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু বিকেলে হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি।

রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বিকেলে চেম্বার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার হাইকোর্টের আদেশের ওপর ৬ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন। এ আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদনান হারুনকে কাল শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম।

আদনান হারুনের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, আদনান হারুনকে ১৫ মে নোটিশ দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তাঁকে ২৩ মে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যেতে বলা হয়েছিল। কাস্টমস ও মানি লন্ডারিং আইনে দেওয়া নোটিশে অ্যালকোহল সংরক্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদনান হারুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় পড়ে। এসব যুক্তি দেখিয়ে রিটটি করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ নোটিশের কার্যকারিতা এক মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন।

গত ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। কাগজে-কলমে হোটেলটির মালিকানা আওয়ামী লীগের সাংসদ বজলুল হক হারুনের (বি এইচ হারুন) স্ত্রী, তিন ছেলে ও মেয়ের নামে। হোটেলের পরিচালকেরা হলেন বি এইচ হারুনের স্ত্রী মনিরা হারুন, তিন ছেলে শাহ মো. নাহিয়ান হারুন, শাহ মো. আদনান হারুন ও মাহির হারুন এবং মেয়ে হোমায়রা হারুন। আদনান হারুন হোটেলটির এমডি।

সম্প্রতি হোটেলটিতে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালান। অভিযানের সময় একটি কক্ষ থেকে ১০ বোতল মদ পাওয়ার কথা জানান শুল্ক গোয়েন্দারা।