নারী জাগরণে বড় ভূমিকা রেখেছে রবীন্দ্র-নজরুলের লেখনী

লেডিস ক্লাবের রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আনোয়ারা আলম
লেডিস ক্লাবের রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আনোয়ারা আলম

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের লেখনী নারী জাগরণে বড় ভূমিকা রেখেছে। নারীদের আত্মসম্মানবোধ সচেতনতায় তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই রবীন্দ্র-নজরুলকে প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে নিজেদের ঋদ্ধ করতে হবে। সমাজ বিনির্মাণে কাজে লাগাতে হবে দুই কবির সৃষ্টি। তাঁদের সাহিত্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে নতুন প্রজন্মকে।

চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ১৭ মে লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টা আনোয়ারা আলম। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া নারীদের আমূল পরিবর্তনে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, তেমনি রবীন্দ্র-নজরুলও নারী সমাজের জন্য অনুসরণীয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভানেত্রী জিনাত আজম। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বিশাল এক ভান্ডার, যার কোনো সীমা নেই। আমরা শুধু অনুভব ও উপলব্ধি করতে পারি। দুই কবির সাহিত্য ধারায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করা গেলে সমাজের অসংগতি কমে যাবে।’

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক পারভিন জালাল। আলোচনায় অংশ নেন উপদেষ্টা সেরীনা তাহের, খালেদা ফারুক, সহসভানেত্রী পারভিন চৌধুরী, সদস্য আলেয়া চৌধুরী, রোকেয়া চৌধুরী, রওশন আরা ইউসুফ, কাজী রুনু বিলকিস প্রমুখ।

আলোচনাপর্ব শেষে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের কবিতা পাঠ করেন সহসভানেত্রী সাবিহা মুসা, সম্পাদক খালেদা আউয়াল, সহসম্পাদক বোরহানা কবির, সহকোষাধ্যক্ষ শামীম আরা আহাদ, সদস্য রেবেকা নাসরিন, জাহানারা বেগম, নাজমা আখতার প্রমুখ। দুই কবিকে নিবেদিত স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সুলতানা নুরজাহান ও হাসমাত আরা বেগম। গান পরিবেশন করেন খালেদা আক্তার চৌধুরী, রুহি মোস্তফা ও রোকেয়া আহমেদ।