নানা অনিয়মের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ ও নিয়মিত ক্লাসের দাবিতে জামালপুর সদর উপজেলার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল জামালপুর–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন l ছবি: প্রথম আলো
বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ ও নিয়মিত ক্লাসের দাবিতে জামালপুর সদর উপজেলার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল জামালপুর–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন l ছবি: প্রথম আলো

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদ ও নিয়মিত ক্লাসের দাবিতে জামালপুর সদর উপজেলার টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার মহাসড়ক অবরোধ এবং বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় যানজটে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, কলেজটির অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান এবং ফার্ম ও মেশিনারিজ বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর মো. ফজলুল হক বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। এক বছর ধরে ডিপ্লোমা বিভাগে নিয়মিত ক্লাস হয় না। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকাও দেওয়া হয়নি। এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে গেলে মো. ফজলুল হক তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ডিপ্লোমা কোর্স বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়। এসব কারণে তাঁরা বিক্ষোভে নামেন।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজটির সামনে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিসগামী লোকজনসহ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে। পরে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়। এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান ও চিফ ইনস্ট্রাক্টর ফজলুল হকের অপসারণের দাবিতে স্লোগান দেন। কলেজের অন্য শিক্ষকেরা বিষয়গুলো আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান।
ডিপ্লোমা কোর্সের ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সুমন আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ (গতকাল) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ডিপ্লোমা কোর্সের একটি ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল। শিক্ষার্থীরা সময়মতো কলেজে এসে সবকিছু বন্ধ পান। সকাল সাড়ে আটটার দিকে শিক্ষকেরা আসেন। এভাবে প্রতিদিন শিক্ষকেরা খেয়াল-খুশিমতো আসেন। নিয়মিত কোনো দিন ক্লাস নেন না। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে খারাপ আচরণ এবং পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য কলেজে গিয়ে মো. ফজলুল হককে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যথাসময়ে উপবৃত্তির টাকা না দেওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা নানা অভিযোগ তুলে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক অসুস্থ থাকায় কয়েকটি ক্লাস নিতে সমস্যা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হবে।