শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে মারধর ও বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয় সূত্র জানয়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস নিচ্ছিলেন খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন।
ওই ছাত্রী বলে, ‘তিন মাস ধরে বিল্লাল স্যার আমাকে ক্লাসে নানা কথা বলছেন। বৃহস্পতিবার ইংরেজি ক্লাসে আমাকে দাঁড় করিয়ে বলেন, “তুমি অনেক সুন্দর। তুমি কার কাছে প্রাইভেট পড়ো, ক্লাসে ঠিকমতো পড়া পারো না কেন?” এসব কথা বলেই স্যার আমাকে কয়েকটা চড়-থাপ্পড় দেন। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।’
ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমি এই ঘটনা বিকালেই উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবকে জানাইছি। তাঁকে কেন এই ঘটনা জানাইলাম, সেই জন্য বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমান শুক্রবার (গতকাল) আমাদের ডাকিয়ে মেয়েকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন এবং মাফ চাইতে বলেন।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে বলেছিলাম বিষয়টি মিটমাট করে ফেলতে। আমাকে জানানোয় মাফ চাওয়ার কথা বলা হলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমি ছাত্রীদের বলেছিলাম, তোমরা বেশি সাজগোজ না কইরা ওই সময়টাতে পড়ো। পরে একটা মেয়েকে পড়া জিজ্ঞেস করলে সে না পারলে বলেছি, তোমাকে মারাই উচিত। এই বলে মারতে গেলে মেয়েটি আমার হাতে ধাক্কা দিয়েছে। এ জন্য একটু রাগ হলে মেয়েটিকে একটা থাপ্পড় দিই। এ সময় মেয়েটি বলে, “থাপ্পড় দেওয়ার তুই কে?” এমন কথা শুনে আমার আরও রাগ হয়। তাকে আরও কয়েকটি থাপ্পড় দিয়েছি। পরে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকেরা অফিসে বসে ছাত্রীকে আমার নিকটে মাফ চাওয়াইছেন। আর সহকারী প্রধান শিক্ষক বলেছেন, “ওই ছাত্রী শিক্ষকের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তাতে তাকে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি ওই দিন ঢাকায় ছিলেন। পরে এসে ঘটনা শুনেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু তৌহিদ বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে মারধর কিংবা মানসিকভাবে আঘাত করার কোনো সুযোগ নেই।