সাভারে 'জঙ্গি আস্তানা', পৌঁছেছে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল

ঢাকার সাভারের মধ্যগ্যান্ডা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গতকাল শুক্রবার রাত থেকে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঢাকা থেকে আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। ওই বাড়িতে যেকোনো সময় অভিযান শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গতকাল রাত সোয়া নয়টার দিকে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) ও ঢাকা জেলা পুলিশ যৌথভাবে সাভারের মধ্যগ্যান্ডা এলাকার নির্মাণাধীন ছয়তলা একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে। এর আগে নামাগ্যান্ডা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

মধ্যগ্যান্ডা এলাকায় ঘিরে রাখা বাড়িটির দোতলা পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হয়েছে। নিচতলার এক ভাড়াটে নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, দোতলার ফ্ল্যাটের একটিতে পাঁচ–ছয়জন তরুণ থাকতেন। আরেক ফ্ল্যাটে থাকতেন এক যুবক ও দুই নারী। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দুই নারীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁরা খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। বাসায় জড়ো করে রাখা কার্টন দেখে তিনি এর ভেতরে কী আছে জানতে চান। দুই নারী জানান, তাঁরা কাচের চুড়ির ব্যবসা করেন। নিচতলার ওই ভাড়াটে চুড়ি দেখতে চাইলে তাঁরা খুব বিরক্তি প্রকাশ করে তাঁকে চলে যেতে বলেন।

ওই ভাড়াটে জানান, বাড়ির মালিক সৌদি আরবপ্রবাসী। সিরাজুল নামের এক কেয়ারটেকারের কাছ থেকে ওই লোকজন বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বিকেল চারটার দিকে নামাগ্যান্ডা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে সিটিটিসি ও ঢাকা জেলা পুলিশ যৌথভাবে একটি পাঁচতলা বাড়ি ঘিরে ফেলে। সাভার মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, ওই বাড়ির দুটি ফ্ল্যাটের একটিতে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে থাকতেন মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে ‘জঙ্গি’ সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। আরেক ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকতেন অপর এক ‘জঙ্গি’। অভিযানের আগে মনির পালিয়ে গেলেও তাঁর স্ত্রী রিমু আক্তার দুই শিশুপুত্র ও এক মেয়েকে নিয়ে ফ্ল্যাটেই ছিলেন। তাঁদের আপাতত বাড়ির মালিকের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল আজীম বলেন, নামাগ্যান্ডায় অভিযান শেষ করে মধ্যগ্যান্ডায় বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।