রামগতির দুই দ্বীপের ২০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ধেয়ে আসার খবরেও লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের দুর্গম চর গজারিয়া ও তেলিরচরে নারী, শিশুসহ প্রায় ২০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকেরা অনেক চেষ্টা করেও তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পারেনি।
রামগতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আমান উল্লাহ বলেন, বিচ্ছিন্ন চর গজারিয়া ও তেলিরচর থেকে লোকজনকে নিরাপদে মূল ভূখণ্ডে আনার জন্য গতকাল সোমবার বিকেল থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সেখানে ছয়টি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সন্ধ্যায় ১৩০ জন লোক নিয়ে একটি ট্রলার মূল ভূখণ্ডে পৌঁছেছে।
চর গজারিয়া ও তেলিরচর এলাকা রামগতি উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মেঘনা নদীতে অবস্থিত। সেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষ বাস করে।
প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মেঘনার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আঘাত হানতে পারে। ফলে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবকেরা সেখানকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। কিন্তু তাতে তেমন সাড়া মিলছে না।
চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, চর গজারিয়া ও তেলিরচরে একতলাবিশিষ্ট দুটি আশ্রয়কেন্দ্র, তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আটটি মাটির কিল্লা রয়েছে। এসব জায়গায় ৬-৭ হাজার লোক আশ্রয় নিতে পারবে। এর বাইরে চর দুটিতে উঁচু কোনো বেড়িবাঁধও নেই। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন-চার ফুট উচ্চতায় পানি উঠলে পুরো চর এলাকা ডুবে যায়। এ অবস্থায় চর দুটির অনেক বাসিন্দা বিপদে পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির রামগতি উপজেলার দলনেতা মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ওই দুটি চরে লোকজন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২০০ স্বেচ্ছাসেবক সেখানে কাজ করছেন। তাঁরা লোকজনকে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতেও আগ্রহী হচ্ছে না।