সংস্কারের ১৫ দিনের মাথায় সুরক্ষা বাঁধে ধস

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫০ ফুট দীর্ঘ এলাকার সুরক্ষা বাঁধ ধসে পড়ছে। এতে বাঁধ বিলীন হওয়ার আতঙ্কে আছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, বলেশ্বর নদের তীরের পদ্মা এলাকার বাঁধটি ২০১৬ সালের মে মাসে সংস্কার করা হয়। সংস্কার করার ১৫ দিনের ব্যবধানে সুরক্ষা বাঁধের ১৫০ ফুট এলাকার চটের ব্যাগগুলো ধসে পড়তে শুরু করে। এতে ওই বাঁধের অভ্যন্তরে রূহিতা, পদ্মা, হাজিরখাল, হাড়িটানা, লাঠিমারা, চর লাঠিমারা, বাদুরতলাসহ আশপাশের ৮টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বরগুনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০/১ নম্বর পোল্ডারে গত বছরের মে মাসে বাঁধটির সংস্কারকাজ করানো হয়। কিন্তু সংস্কারের পর ১৫ দিন যেতে না যেতেই সুরক্ষা বাঁধের চটের বস্তাগুলোতে ধস নামে। পাউবোর পাথরঘাটা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, বাঁধটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যে এর কিছু অংশ ধসে পড়েছে। ওই অংশের সংস্কারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মূল বিল থেকে ছয় লাখ টাকা কেটে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে এখনো পর্যন্ত বাঁধের ওই অংশের সংস্কারকাজ করানো সম্ভব হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা এলাকার দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে বাঁধের প্রায় ১৫০ ফুটে ব্যবহৃত বালু ও সিমেন্ট ভর্তি চটের ব্যাগগুলো নদে ধসে পড়েছে। এতে পুরো বাঁধটি ঝুঁকিতে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে পুরো বাঁধটি ধসে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন।

ভাঙনকবলিত পদ্মা গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়া, আনোয়ার হোসেনসহ সাত-আটজন অভিযোগ করেন, নিম্ন মানের কাজ হওয়ায় মেরামতের ১৫ দিনের মাথায় বাঁধে ধস দেখা দেয়। ঠিকাদার বালু ও সিমেন্টের পরিবর্তে মাটি ও বালু ব্যবহার করায় এগুলো দ্রুত ধসে পড়েছে।

জানতে চাইলে পাউবোর বরগুনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের হাতে কোনো প্রকল্প নেই। তাই এ বছর ওই পোল্ডারে আমরা কোনো মেরামতের কাজ করাতে পারছি না।’