হেফজখানার সুপারকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ২

চট্টগ্রামের পটিয়ায় হেফজখানার সুপার হাফেজ মাওলানা আবদুল আজিজকে (৫০) দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় গুরুতর আহত হয়েছেন এতিমখানার কাজের মেয়ে রওশন আরা (৪৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের শাহজাহান আউলিয়া এতিম ও হেফজখানায়।
আবদুল আজিজ সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের মাইঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত রহিম বক্সের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ এতিমখানার শিক্ষক মাওলানা আইয়ুব (৪৩) ও শিক্ষার্থী আবদুর রহমানসহ দুজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত আবদুল আজিজকে রুম থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে আসে। এ সময় মাদ্রাসা এলাকায় তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে মাদ্রাসার পাশে একটি পানির ট্যাংকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজের আজানের পর এতিমখানার ছাত্র আবদুর রহমান ঘুম থেকে উঠে এতিমখানা এলাকায় রক্ত দেখে হইচই শুরু করে।
এ সময় দুর্বৃত্তের হাতে আহত রওশন আরা ওই ছাত্রকে বলেন, ‘তোমাদের সুপারকে মেরে ফেলেছে।’ তখন ওই ছাত্র সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি এতিমখানা কর্তৃপক্ষকে জানায়।
এতিমখানার অর্থ সম্পাদক জাগির হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে এ ব্যাপারে পটিয়া থানায় খবর দেওয়ার পর গতকাল ভোর ছয়টায় পটিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পানির ট্যাংক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় গুরুতর আহতাবস্থায় রওশন আরাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।’
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী পারভীন আকতার বলেন, গত বুধবার তাঁর স্বামী বাড়িতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ছোট মেয়ে এবারের পিএসসি পাস করা আকলিমা সুলতানাকে চন্দনাইশ বিজিসি ট্রাস্টে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করে মাদ্রাসায় চলে আসেন।
এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানে আবদুল আজিজ ১৪ বছর ধরে চাকরি করছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’