পায়ের রগ কর্তন এবার মামলা তুলে নিতে হুমকি?

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় আবদুস সালাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তির পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে আসামিরা হুমকি দিচ্ছে বলে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন তিনি।

পেশায় কৃষক আবদুস সালামের বাড়ি উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। বাবার নাম ইউসুফ আলী মাস্টার। গত ২৯ এপ্রিলচৌগাছার সুখপুকুরিয়া গ্রামের ঠাকুরদরগা এলাকায় তাঁর ওপর হামলা হয়।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিন ধান কাটা কয়েকজন শ্রমিক আবদুস সালাম ও একই গ্রামের বাসিন্দা মাবুদ মিয়ার খেতে কাজ করেন। শ্রমিকেরা প্রথমে মাবুদ মিয়ার এবং পরে সালামের খেতে কাজ করেন। তাঁদের দুপুরের খাবার দেন মাবুদ। কিন্তু সালাম খেতে দেননি। এ ঘটনা নিয়ে প্রথমে মাবুদ ও সালামের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাবুদ ও তাঁর পরিবারের লোকজন সালামের ওপর হামলা করেন।

গতকাল দুপুরে যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন হামলার শিকার আবদুস সালাম। এ সময় লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, ২৯ এপ্রিলপাশের সুখপুকুরিয়া গ্রামের ঠাকুরদরগা এলাকায় আবদুস সালামের ওপর অতর্কিত হামলা করেন মাবুদ মিয়া, তাঁর দুই ছেলে আমিনুর ও শামীম। তাঁরা দা দিয়ে তাঁর বাঁ পায়ের রগ কেটে দেন। এ ছাড়া ডান হাতের বিভিন্ন জায়গা কুপিয়ে জখম করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সালামকে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুস সালাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও আসামিরা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

হামলার পরদিন চৌগাছা থানায় মামলাটি করেন সালামের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাবিনা খাতুন। এতে মাবুদ মিয়া, শামীম, আমিনুরসহ চারজনকে আসামি করা হয়।

আসামিপক্ষের কারও ফোন নম্বর না পাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

ওসি প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের চারজনই আদালত থেকে এ মামলায় জামিন নিয়েছেন। এ কারণে তাঁদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। হুমকির বিষয়ে বাদীপক্ষের কেউ থানায় কোনো অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।