মালিবাগে গার্ডার পড়ে হতাহতদের কেন ক্ষতিপূরণ নয়

মালিবাগ রেলগেটে নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের গার্ডার নিচে পড়ে নিহত স্বপন মিয়ার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ও আহত দুজনকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন প্রদান করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার এ রুল দেন।

এলজিইডির সচিব, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘রাজধানীর মালিবাগে উড়ালসড়কের গার্ডার পড়ে একজন নিহত: আহত দুজনের একটি করে পা কেটে ফেলতে হয়েছে’ এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চিলড্রেনস চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে আইনজীবী আবদুল হালিম ৩ জুন রিটটি করেন। আজ রিটের ওপর শুনানি হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল হালিম নিজেই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

পরে আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, এ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা এড়াতে নির্মাণ নিরাপত্তাসংক্রান্ত ম্যানুয়েলের কোনো বিধি অনুসরণ করা হয়নি না। ঘটনায় দেখা যায় যে ঠিকাদারদের পূর্ব সতর্কতামূলক নিরাপত্তা বিধিগুলো মানাতে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের অবহেলা ছিল।

গত ১৩ মার্চ রাতে মালিবাগ রেলগেটে নির্মাণাধীন উড়ালসড়কের গার্ডার নিচে পড়ে গেলে মো. স্বপন মিয়া (৪২) নামের একজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রকৌশলী পলাশ বরণ ধর (৩৯) ও গাড়িচালক মো. নূর নবীর (৪০) একটি করে পা কেটে ফেলতে হয়। ঘটনা তদন্তে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন শাখা) আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়।

স্বপন মিয়া উড়ালসড়ক নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের হয়ে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতেন। ওই রাতেই তিনি কাজে যোগ দেন। পলাশ প্রতিষ্ঠানের উপসহকারী প্রকৌশলী। আর নূর নবী গাড়িচালক।