অ্যানথ্রাক্স রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২১

অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে উল্লাপাড়া উপজেলার কালিয়াকৈড় গ্রামে গত দুই দিনে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত আরও আট রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এঁরা হলেন শাহ আলম (৪০), জাহানারা খাতুন (৩০), বাদশা মিয়া (১৪), লিমা খাতুন (৩), সেতু খাতুন (১০), সিয়াম হোসেন (১০), আমানত আলী (৪০), রাবেয়া খাতুন (৫)।

আজ বুধবার উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে এই আট রোগীকে শনাক্ত করেন। গতকাল মঙ্গলবার ১৩ জন রোগীকে শনাক্ত করেছিল উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস। গত দুই দিনে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ২১।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাফরুল ইসলাম জানান, তাঁর নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল গত দুই দিনে মোহনপুর ও কালিয়াকৈড় গ্রামে মোট ২১ ব্যক্তিকে অ্যানথ্রাক্স রোগ আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা অসুস্থ গরুর মাংস কাটা ও ধোয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে কালিয়াকৈড় গ্রামে অ্যানথ্রাক্স রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন খান বলেন, অসুস্থ গরুর মালিক কালিয়াকৈড়ের সেরাজুল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এদিকে কালিয়াকৈড় ও মোহনপুর গ্রামে কৃষকদের গরুগুলোকে অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রতিরোধে ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজনকে সচেতন করতে পুরো এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।