ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও যুবলীগের নেতা ইমাম হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গতকাল বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ওই সংবাদ সম্মেলন হয়।

সকাল ১০টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইমাম হোসেন সরকার। এ সময় তাঁর সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। ইমাম হোসেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।

লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন দাবি করে বলেন, ‘এলাকায় একটি কুচক্রি মহল একজন নারীর নাম ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে অসত্য মামলা দিয়েছে। ওই নারীকে আমি চিনি না। তাঁর ঠিকানাও চান্দিনা উপজেলায় নয়। শুনেছি তাঁর বাড়ি বুড়িচং উপজেলায়। আমার ব্যক্তিগত ও ইউনিয়ন পরিষদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য এ ইউনিয়নের সাবেক একজন চেয়ারম্যান এ কাজ করেছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর ভাষায়, ‘২৪ মে ঘটনার দিন আমি সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদে বাজেট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ২৫ মে সামাজিক কাজে ভারতে যাই। ২৬ মে দেশে ফিরে এসে শুনতে পাই আমার নামে কুমিল্লার একটি আদালতে নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুহিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আলম মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহ সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনাব আলী প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মে দুপুরে বুড়িচং উপজেলার একটি মেয়ে দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসেন। এ সময় ইমাম হোসেন ও তাঁর আরও তিন সহযোগী মেয়েটিকে একটি স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষিতাকে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করার পর একপর্যায়ে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাঁরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ২৫ মে ওই মেয়ে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও তিন ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি এফআইআরভুক্ত করার জন্য চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মামলাটি তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন সুহিলপুর গ্রামের ইমাম হোসেন, একই গ্রামের মো. জুয়েল, শালিখা গ্রামের মো. স্বপন ও বশিকপুর গ্রামের মো. মিজানুর রহমান।

এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর মামলা এফআইআরভুক্ত করা হয়। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে।