পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে বিপর্যয় ঘটবেই

পাহাড় রক্ষা ও মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর দাবিতে গতকাল বিকেলে চেরাগী পাহাড় এলাকায় মানববন্ধন l প্রথম আলো
পাহাড় রক্ষা ও মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর দাবিতে গতকাল বিকেলে চেরাগী পাহাড় এলাকায় মানববন্ধন l প্রথম আলো

পাহাড় রক্ষা ও মানবিক বিপর্যয় ঠেকানোর দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে যৌথভাবে মানববন্ধন ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়ন সংস্থা পিপলস ভয়েস, কারিতাস-চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ যৌথভাবে গতকাল রোববার বিকেলে নগরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করে। এ সময় রাঙামাটি, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও টেকনাফে পাহাড়ধসে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

নাগরিক সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা বলেন, মানুষের লোভের কারণে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। বছরের পর বছর ধরে নির্বিচারে পাহাড় কাটার কারণে এই ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম নগরে পাহাড়ধসে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরপরও পাহাড় কাটা থামেনি। এক দশক পর আবার পাহাড়ধসে শতাধিক মানুষ মারা গেল।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান বলেন, ২০০৭ সালে পাহাড়ধসের পর তদন্ত কমিটি ৩৬ দফা সুপারিশ করলেও এর কোনোটিই বাস্তবায়িত হয়নি। চট্টগ্রাম নগর ও পার্বত্য এলাকায় পাহাড় কাটা বন্ধে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। যাঁরা অবৈধ বসতি স্থাপনে মদদ দিচ্ছেন এবং পাহাড় কাটছেন তাঁদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ দেলোয়ার মজুমদার, বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের চৌধুরী, খেলাঘর চট্টগ্রাম নগরের সাধারণ সম্পাদক রূপক চৌধুরী প্রমুখ।