ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসা আলীর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ওই নারীর (৩০) স্বামী নিহত হন। তিনি ২০১৪ সালে দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা দেন। ওই সময় তাঁর সঙ্গে পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মুসা আলীর পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উপজেলা কোয়ার্টারে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেন মুসা আলী। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। ৫ জুন বিকেলে ওই নারী পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে গিয়ে এ ব্যাপারে মৌখিক অভিযোগ করেন। এ সময় উপজেলা চত্বর থেকে লোক মারফত তাঁকে ডেকে নিয়ে মুসা আলী তাঁর হরিপুর উপজেলার বীরগড় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় নারীর বাবা সেখানে যান। বিয়ের কথা বললে মুসা আলী, তাঁর বাবা ও ভাই তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।

উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মুসা আলী কাউকে কিছু না জানিয়ে মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মহিলা এ মাসের প্রথম দিকে তাঁর (মুসা) বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেন। মুসা এ কথা ইউএনও স্যারের কাছে জানতে পেরেছেন। ঘটনা সত্য হলে তাঁর অপরাধ ক্ষমাযোগ্য নয়। মামলার তথ্য পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

থানার ওসি মো. আমিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দুদিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়েও আসামিকে পাইনি।’