ভিজিডির তালিকাভুক্ত হলেও চাল পান না ১৮ নারী

ভিজিডি কার্ডধারী হলেও বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের ১৮ জন দুস্থ নারী গত ৫ মাসে কোনো চাল পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুস্থ নারীদের উন্নয়নের আওতায় গোপালনগর ইউনিয়নে ২৬০ জন নারী কার্ডধারী রয়েছেন। তাঁদের প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ইউপি থেকে উত্তোলন করার কথা। গত জানুয়ারি মাসে গোপালনগর ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা ২৬০ কার্ডধারীর নাম চূড়ান্ত করে তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে জমা দেন।

তবে অভিযোগকারী নারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই তালিকার সবাই চাল পাচ্ছেন না। ইউপি চেয়ারম্যান গত জানুয়ারি মাস থেকে তালিকাভুক্ত ২৪২টি কার্ডের বিপরীতে চাল বিতরণ করছেন। তালিকাভুক্ত ডিগ্রী চর গ্রামের শাহেদা খাতুন (কার্ড নম্বর ৮১) ও আকলিমা খাতুন (২৩০), চরখুকশিয়া গ্রামের খোদেজা খাতুন (১০৬), ঝরনা খাতুন (২৬৫), ফজলি খাতুন (২৫৮) ও রুবিয়া খাতুন (১২৯), বাঁশপাতা গ্রামের আয়মনা খাতুন (১৪৬) ও চামেলী খাতুন (১৭৩), মহিশুরা গ্রামের মঞ্জুয়ারা খাতুন (২৪১), রামনারায়ণপুর গ্রামের ইসমত আরা খাতুনসহ (২৪৮) বাকি ১৮ জন নারীকে কোনো চাল দেওয়া হয়নি।

তবে গোপালনগর ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার দাবি করেন, অনেক সচ্ছল নারী নীতিমালা বহির্ভূতভাবে ভিজিডি কার্ডের তালিকাভুক্ত হন। এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত তালিকা গত মার্চে ইউএনওর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের ইউএনও বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আখতারকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। ইউএনও রাজিয়া সুলতানা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।