স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে সাঁকোর কষ্ট

সড়কের মাঝ অংশ ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। চলাচলের জন্য ভরসা সাঁকো। মহেশখালীর মাতারবাড়ীর স্বাস্থ্যকেন্দ্র–সংলগ্ন সড়কের এখন এই হাল। ছবিটি গত বুধবার বেলা ১১টায় তোলা l প্রথম আলো
সড়কের মাঝ অংশ ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। চলাচলের জন্য ভরসা সাঁকো। মহেশখালীর মাতারবাড়ীর স্বাস্থ্যকেন্দ্র–সংলগ্ন সড়কের এখন এই হাল। ছবিটি গত বুধবার বেলা ১১টায় তোলা l প্রথম আলো

ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে সড়ক ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১০ মিটারের গর্ত। এতে জমে আছে পানি। লোকজন চলাচলের জন্য নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছেন বাঁশের সাঁকো। আর এই নড়বড়ে সাঁকোই এখন ভোগান্তিন কারণ। সাঁকো পারাপারে প্রায় সময় পড়ে আহত হচ্ছেন লোকজন।

এ চিত্র কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রসংলগ্ন সড়কের। ভাঙা অংশের কারণে চার কিলোমিটারের সড়কটিতে বন্ধ রয়েছে গাড়ি চলাচল। চার গ্রাম—উত্তর সিকদারপাড়া, ওয়াপদাপাড়া, বান্ডিসিকদারপাড়া ও মধ্যম সিকদারপাড়ার প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচল এই সড়কে।

 ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিবারকল্যাণ সহকারী সুলতানা বেগম বলেন, সাঁকো পেরিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় শ রোগী হাসপাতালে আসা-যাওয়া করেন, বিশেষ করে প্রসূতি রোগীদের হাসপাতালে আসতে কষ্ট হচ্ছে বেশি। গত ২০ দিনে ৩০ থেকে ৩৫ জন সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাঙা অংশের সঙ্গে পাশের বিলের পানি মিশে একাকার। বাঁশের সাঁকোতে মানুষ উঠলেই দুলতে থাকে। লোকজন ভয়ে ভয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন। 

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক অছিয়র রহমান বলেন, এই এলাকার ৮০ হাজার মানুষের চিকিৎসাসেবার ভরসাস্থল ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। কিন্তু হাসপাতালে যাতায়াতের একমাত্র সড়কের মাঝখানে ভেঙে যাওয়ায় রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই।

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, জরুরি ভিত্তিতে সড়কটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক ভেঙে গেছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন হাসপাতাল সড়কও রয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।