কেটে ফেলা পাহাড়ের মালিককে চেনে না বান্দরবানের প্রশাসন

পাহাড় কাটার দায়ে বান্দরবান শহরের কালাঘাটা বড়ুয়ারটেক এলাকার ফ্রান্সিঘোনা থেকে একজন পাহাড় কাটা শ্রমিককে আটক করা হয় আজ গতকাল শনিবার। আটক শ্রমিককেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২০০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, বান্দরবানের পুলিশ ও প্রশাসন ওই কেটে ফেলা পাহাড়ের মালিককে চেনে না বলে জানিয়েছে।

কালাঘাটা বড়ুয়ারটেক এলাকার অধিবাসীরা জানিয়েছেন, গত শনিবার সাংবাদিকেরা পাহাড় কাটার ছবি তুলে নিয়ে আসার পর পুলিশ ফ্রান্সিঘোনায় যায়। সেখান থেকে মোহাম্মদ সেলিম নামের একজন পাহাড় কাটা শ্রমিককে ধরে নিয়ে যায়।

গত ২৭ জুন থেকে বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের কালাঘাটা ফ্রান্সিঘোনায় বিপজ্জনকভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছিল বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তবে প্রশাসন ও পুলিশের কাছে পাহাড় কাটার কোনো তথ্য নেই বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ শনিবার রাত পর্যন্ত জানিয়েছিলেন, সেলিম নামের কাউকে আটক করা হয়নি। আবার আজ তিনি বলেছেন, আটক সেলিমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে পাঠানো হয়েছে। কেটে ফেলা পাহাড়ের মালিকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবান সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরে জান্নাত রুমি বলেছেন, পুলিশ সেলিম নামের একজনকে আটক করে তাঁর কাছে নিয়ে এসেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিনি তাঁকে ২০০ টাকা জরিমানা করে ভবিষ্যতে আর পাহাড় না কাটার লিখিত নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। সেলিমের কাছ থেকে পাহাড়ের মালিক ও তাঁকে পাহাড় কাটায় নিয়োজিত ব্যক্তির নাম জানা গেছে কি না, জানতে চাইলে নূরে জান্নাত বলেন সেলিম কারও নাম বলতে চাননি।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেছেন, ‘পাহাড় কাটার ব্যাপারে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই। সাংবাদিকদের কাছে জানার পর তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন।’

গত ১২ ও ১৩ জুন প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে বান্দরবানে ছয়জনসহ কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামে ১৫৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার ২০ দিনেও প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের তালিকা তৈরি করেনি। গতকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আবারও পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেছেন, বৃষ্টি শুরু হওয়ায় পাহাড়ে বসবাসকারীদের সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদেরও তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।