সেতুর সংযোগ সড়ক নেই, ঘুরতে হয় ৮ কিলোমিটার

দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে টাঙ্গাইলের মধুপুরে হাউদা বিলে নির্মিত সেতু l প্রথম আলো
দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে টাঙ্গাইলের মধুপুরে হাউদা বিলে নির্মিত সেতু l প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের বিখ্যাত হাওদা বিলের পিরোজপুর-জলছত্র পঁচিশ মাইল সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর। কেননা সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় কোনো কাজে আসছে না এটি।

এলাকাবাসী জানান, সেতুটি ওই অঞ্চলের ২০-২৫ গ্রামের মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশিত। একাধিকবার ঠিকাদার বদল হয়ে অবশেষে জনপ্রত্যাশিত সেতুটি তৈরি হলেও সেতুর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ না কমে আরও বেড়েছে। ফলে সড়কটি এবং সেতুটি জনগণের কোনো কাজেই আসছে না। পাহাড়ি এলাকার আনারসসহ নানা ফল-ফসলের একমাত্র মোকাম জলছত্র পঁচিশমাইল বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। পিরোজপুর বাজার থেকে এই বাজারে যাওয়ার দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। অথচ সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীকে ঘুরতে হয় আট কিলোমিটার রাস্তা। পথটিতে পিরোজপুর, কুড়াগাছা, কামারচালা, জাগিরাচালা, চাপাইদ, অরণখোলা, ভবানীটেকি, মমিনপুর, কাউচি বাজার, জাঙ্গালিয়াসহ ২০-২৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াত এবং কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে পরিবহনের জন্য সেতুটির দাবি ছিল বহুদিনের।

কামারচালা গ্রামের কৃষক আজাহার আলী, পিরোজপুর গ্রামের হাসমত আলী, দেলোয়ার হোসেন, বাবুল মিয়া, জাঙ্গালিয়া গ্রামের খায়রুল ইসলাম প্রমুখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই সব গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য জলছত্র পঁচিশমাইল বাজারে নিতে ঘুরতে হয় প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তা। পিরোজপুর বাজার থেকে বিপ্রবাড়ী-কাকরাইদ হয়ে এই আট কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে পণ্য পরিবহনে খরচও হয় অতিরিক্ত। এতে কৃষকের লাভ থাকে না।

অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির সরকার বলেন, সেতুটির দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক না থাকায় এবং সেতুর পূর্ব পাশে ওয়ার্ল্ড ভিশনের পাকা ভবন নির্মাণের কারণে এ অঞ্চলের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

মধুপুর উপজেলা প্রকৌশলী আমির আলী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’