শ্রমিক লীগ ও মহিলা আ.লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে হামলা ও এক কর্মচারীকে মারধর করার অভিযোগে উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ওই কার্যালয়ের টেকনিশিয়ান লক্ষ্মণ চন্দ্র বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ওই মামলা করেন।

মামলার আসামি দুই নেতা হলেন উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুন্নবী ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজা মণ্ডল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আজিজা মণ্ডল গত ৩ জুন বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ইউএনও কার্যালয়ের আইসিটি সার্ভার কক্ষে ঢুকে লক্ষ্মণ চন্দ্রের কাছে টাকা দাবি করে গালাগাল করেন। একপর্যায়ে আজিজার সঙ্গে থাকা শারমীন বেগম মুঠোফোনে খবর দিলে ১০-১২ জন উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি হাতে লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সার্ভার কক্ষে ঢুকে লক্ষ্মণকে মারধর করেন। এ সময় তাঁরা সার্ভার কক্ষের ল্যাপটপসহ অন্য ইলেকট্রনিকস সরঞ্জামাদি ভাঙচুর, তছনছ ও লুটপাট করেন। পরে অফিসের অন্য লোকজন ছুটে এসে আহত লক্ষ্মণকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি দুই দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

লক্ষ্মণ চন্দ্র গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই হামলার ঘটনায় সার্ভার কক্ষের অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ইলেকট্রনিকস সরঞ্জামাদির ক্ষতি হয়েছে। আমি মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আজিজার ইটভাটা থেকে ইট নিয়ে টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। তবুও তিনি আমার কাছে টাকা পাবেন বলে দাবি করে হুমকি দিচ্ছেন।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আজিজা মণ্ডল বলেন, ‘লক্ষ্মণ আমার ভাটা থেকে ৯ হাজার ইট ক্রয় করেন। এখনো তাঁর কাছে ৩০ হাজার টাকা পাব। এই টাকা চাইতে গেলে উল্টো তিনিই আমাকে হুমকিসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছেন। আমরা কেউ ইউএনওর কার্যালয়ে হামলা করিনি।’

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, ইউএনওর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ইউএনও মামুন-অর রশীদ বলেন, ‘আমার কার্যালয়ে যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’