টেকনাফ শুল্ক স্টেশনে রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড

কক্সবাজারের টেকনাফ শুল্ক স্টেশনে গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। শুল্ক স্টেশন চালুর ২২ বছরের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও রাজস্ব আদায় বেড়েছে।

মূলত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে শুঁটকি, কাঠ, মাছ, আচার ও গবাদিপশু আমদানি থেকে বেশি রাজস্ব আদায় হয় বলে জানা গেছে।

শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, গেল অর্থবছর এ শুল্ক স্টেশনকে ৭২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। অর্থবছর শেষে দেখা যায়, স্টেশনের কাস্টম খাতে ৯৩ কোটি ৫৮ লাখ এবং অগ্রিম আয়করসহ অন্যান্য খাতে ২১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

টেকনাফ কাস্টমসের শুল্ক কর্মকর্তা এ এস এম মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২০১০-১১ অর্থবছরে। তখন ৯০ কোটি ৩৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়।

রাজস্ব কর্মকর্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এ স্থলবন্দর চালু করা হয়। সেই অর্থবছরের রাজস্ব আয় হয়েছিল মাত্র ৭৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয় ৭১ কোটি ২৯ লাখ ৫ হাজার টাকা।