পাঁচ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা

রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের গত শনিবার ত্রাণ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি সদর মগবান ইউনিয়নের কার্যালয় থেকে শনিবার সকালে তোলা ছবি l প্রথম আলো
রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের গত শনিবার ত্রাণ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাঙামাটি সদর মগবান ইউনিয়নের কার্যালয় থেকে শনিবার সকালে তোলা ছবি l প্রথম আলো

রাঙামাটির সদর উপজেলার চার ইউনিয়নে পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ হাজার ২৫০টি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত শনিবার সকালে ওই চার ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে সরকারি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে পরিবারগুলোকে চাল দেওয়া হয়।

গত ১৩ জুনের ভয়াবহ পাহাড়ধসে এসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড়ধসে শুধু রাঙামাটিতেই প্রাণ হারান ১২০ জন, আহত হন অন্তত ৮৮ জন।

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। এর মধ্যে মগবান ইউনিয়নে ১ হাজার ২৫০ পরিবার, বালুখালী ইউনিয়নের ১ হাজার ৪০০ পরিবার, বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের ১ হাজার ৪০০ পরিবার ও সাপছড়ি ইউনিয়নের ১ হাজার ২০০ পরিবারকে চাল দেওয়া হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি বন্ধু যিশু টিলা এলাকায় মগবান ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে চাল বিতরণ উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা। এ সময় মগবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

অরুণ কান্তি চাকমা বলেন, সরকারের বরাদ্দ দেওয়া জেনারেল রিলিফ (জিআর) হিসেবে চার ইউনিয়নের ৫ হাজার ২৫০ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। ১৩ জুনের পাহাড়ধসে তাঁদের ঘরবাড়ি, ধানের খেত, ফলদ বাগান বিলীন হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার প্রথম আলোর শেষ পাতায় ‘সরকারি ত্রাণ সহায়তা পর্যাপ্ত নয়, বেসরকারি উদ্যোগও তেমন নেই’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরের দিনই রাঙামাটি জেলা প্রশাসন পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল সহায়তা দেয়।