মানহানির মামলায় মির্জা ফখরুলের বিচার শুরু

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে মানহানির মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিচার শুরু হয়েছে। আদালত আগামী ৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন। গতকাল রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম নূর নবী অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের এই দিন ঠিক করেন।
এর আগে আদালতে উপস্থিত হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। তাঁর আইনজীবীরা বলছেন, এ নিয়ে ফখরুলের বিরুদ্ধে ২টি মামলায় বিচার শুরু হলো। এর আগে গত বছর পল্টন থানার একটি নাশকতার মামলায় বিচার শুরু করেন ঢাকার একটি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে সর্বমোট ৮৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি মামলা অভিযোগ গঠন ও অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। অপর ৪৩টি মামলা তদন্তাধীন।

ফখরুলের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, মানহানির মামলার এই অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য ফখরুলের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে। এসব মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

গত বছরের ২৪ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন—এই অভিযোগ এনে আদালতে নালিশি মামলা করেন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এস এম নূর-ই আলম সিদ্দিক। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর করা মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে পল্টন থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। পল্টন থানার পুলিশ একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দেয়। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর জামিন নেন ফখরুল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর গাড়ি ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৭৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।