বিএনপি প্রার্থীর তিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনে গতকাল সোমবার বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবদুল জলিলের তিন কর্মীকে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলতাব হোসেন আকন্দের ছেলে ওহাব বাবুর নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

গত ৫ মে ওই ইউপির চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার মারা যান। ১৩ জুলাই (বৃহস্পতিবার) এখানে ভোট গ্রহণ হবে।

বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচনী কাজে মোটরসাইকেলে করে বড়গাছা যাওয়ার পথে তাঁকে ও তাঁর সহকর্মী শামীম হোসেনকে ওহাব বাবুর নেতৃত্বে ৫-৭ জনের দল জোর করে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে ছেড়ে দিলেও শামীমকে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে মারধর করা হয়।

বিকেলে কালীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে যাওয়ার সময় বিএনপির কর্মী আরিফুল ইসলাম (২৭) ও রেজাউল ইসলামকে (৩৫) আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কার্যালয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এদিকে গতকাল বিকেল পাঁচটায় এখলাসপুর বাজারে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীরা।

আবদুল জলিল বলেন, প্রতিনিয়তই তাঁকে ও তাঁর কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাঁর কর্মীদের জোর করে বের করে দিচ্ছেন ওহাব বাবু ও তাঁর সহযোগীরা।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে আলতাফ হোসেন বলেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী।

কালীগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা শাহেদ আলী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা তাঁদের ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি।’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এস জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।