পাটগ্রামে ঠিকমতো বিদ্যুৎ বিল পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকেরা। প্রতি মাসে ঠিকমতো বিল না পাওয়া, অনেকে কয়েক মাসের বিল একত্রে পাওয়াসহ নানা অভিযোগ করছেন। আবার কেউ কেউ বিলের জন্য বিদ্যুৎ কার্যালয়ে যোগাযোগ করেও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

এদিকে প্রচণ্ড গরমে তীব্র লোডশেডিং হচ্ছে। রাতে ও দিনে কয়েকবার দীর্ঘ সময় ধরে এ লোডশেডিং হচ্ছে। তবে স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ভাষ্যমতে, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় এ লোডশেডিং হচ্ছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) পাটগ্রাম কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের আওতায় চারটি ফিডার রয়েছে। এই চারটি ফিডারে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৮ মেগাওয়াট। তবে পাওয়া যায় ৪ মেগাওয়াট, তা-ও আবার লো-ভোল্টেজের।

পিডিবির পাটগ্রাম কার্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, চারটি ফিডারের বিভিন্ন লাইনে ঝড়ে কোথাও না কোথাও প্রায়ই বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। ফলে বারবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। এতে উপজেলার গ্রাহকেরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। তবে বিল বিতরণকর্মীরা হামলার ভয়ে গ্রাহকদের বাড়িতে বিল নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দু-তিন গ্রামে বিল দিতে গিয়ে গ্রাহকেরা হামলার শিকার হয়েছেন। প্রায় চার-পাঁচ মাসের বিল কর্মীদের হাতেই রয়েছে।

উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের গ্রাহক মামুন মিয়া (৩২) বলেন, ‘প্রায় পাঁচ মাস ধরে তিনি বিদ্যুৎ বিল পাচ্ছেন না। বিল না পাওয়ার বিষয়ে জানতে স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ে গেলে সেখান থেকে বাউরায় এক বিল বিতরণকর্মীর কাছে পাঠায়। সেখানে গেলেও ওই কর্মী তাঁকে বিল খুঁজে দিতে পারেননি। পরে দেওয়া হবে বলে জানান। এখন কাকে অভিযোগ দেব বা একসঙ্গে ছয় মাসের বিলও কীভাবে দেব।’

উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের গ্রাহক আইয়ুব আলী বলেন, তিনিও প্রায় ছয় মাস ধরে বিদ্যুৎ বিল পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে জানতে পাটগ্রাম আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী (বিতরণ) আব্দুল মতিনের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। জানতে চাইলে ইউএনও নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘ওই প্রকৌশলী তাঁর ফোনও ধরেন না। বিষয়টি নিয়ে বারবার বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কোনো সুরাহা হচ্ছে না। সুরাহার কোনো আশার পথও দেখছি না।’