ইউএনওর মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের কাছে গতকাল সোমবার সকালে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইউএনও সাখাওয়াত হোসেন বিকেলে পাংশা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

 পাট্টা ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রব মুনা বিশ্বাস বলেন, ‘গতকাল সকাল ১০টার দিকে আমার মুঠোফোনে ইউএনও স্যারের নম্বর থেকে কল আসে। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, আমি ডিসি (জেলা প্রশাসক) স্যারের সামনে বসা। এরপর টিআর ও কাবিখার ১০ টন করে চাল বেশি দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বিনিময়ে আমার কাছে খরচা বাবদ ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। দ্রুত এই টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়।’

 কসবামাজাইল ইউপির চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘ইউএনওর নম্বর থেকে ফোন আসে বেলা পৌনে ১১টার দিকে। এ সময় টিআর ও কাবিখার ১০ টন করে চাল আমি বেশি নিতে চাই কি না, জানতে চাওয়া হয়। আমি ইউপি সচিবের সঙ্গে কথা বলার পর জানাতে চাই। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে টনপ্রতি দুই হাজার টাকা বিকাশ করতে বলা হয়। কিন্তু আমি বুঝতে পারি, অপর প্রান্তের কণ্ঠ ইউএনও স্যারের নয়। এ কারণে টাকা পাঠাইনি। পরে সভায় এসে বিষয়টি অবহিত করি।’

 ইউএনও সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বন্যা হলে তা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, সে বিষয়ে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় উপজেলা দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটির সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কমিটির সভাপতি ফরিদ হাসান। সভায় তিনিসহ সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ রাশেদ উজ্জামান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদা আহম্মেদসহ বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। সভা চলাকালে কয়েকজন চেয়ারম্যানের কাছে আমার নম্বর ক্লোন করে ফোন দেওয়া হয়। আমি তাঁদের কল ধরতে বলি। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে টনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করা হয়। পরে পাংশা থানায় জিডি করি। এ ছাড়া গ্রামীণফোন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। প্রতারক চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’

 এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাংশা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদুল ইসলাম গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।